• শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
স্বীকৃতি না পেয়ে অস্তিত্ব সংকটে পদ্মডুবি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় বিরল উপজেলা শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ এর ২৩ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নড়াইল- ২ আসনে জামায়াত প্রার্থীর প্রচার মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত এলজিইডির উন্নয়ন বদলে দিচ্ছে কালীগঞ্জের গ্রামীণ চিত্র নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বড় শোডাউন বিরলে চোলাইমদ পান করে মাতলামি জনতা কর্তৃক ২ মাদকসেবী আটক\ ভ্রাম্যমাণ আদালতে দন্ড ঝিনাইদহে ছাত্রীদের কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাগরপুরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিএনপি ও ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল আগামী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন হবে ঐতিহাসিক: নতুন এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বিরলে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে এতিম শিশুদের মাঝে ছাগল বিতরণ করেন পিনাক চৌধুরী

ইন্দুরকানীতে বিয়ের দাবিতে ৯ দিন ধরে অনশনে তরুণী, পলাতক আলী

মোঃ শামীম হোসাইন / ২০ Time View
Update : রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে নয় দিন ধরে অনশন করছেন এক সনাতন ধর্মাবলম্বী তরুণী। ঘটনাটি উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর-সাউদখালী আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার নানদোয়হান গ্রামের নারায়ণ মণ্ডলের মেয়ে সঞ্চিতা মণ্ডল (২৬) দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দুরকানী উপজেলার চর-সাউদখালী গ্রামের কবির হাওলাদারের ছেলে আলী হাওলাদারের (১৭) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। সম্পর্কের দুই মাস পর আলীর বিয়ের আশ্বাসে সঞ্চিতা কোর্টের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের আশ্বাসে আলী তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছেন এবং সম্পর্কের সুযোগে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আলী তার পরিবারকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়ে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান এবং সম্প্রতি ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
গত ১ নভেম্বর (শনিবার) বিকালে কোনো উপায় না দেখে সঞ্চিতা প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে ভিড় জমে।

অনশনরত সঞ্চিতা মণ্ডল বলেন, “আমি একটি এনজিওতে চাকরি করি। ফেসবুকে আলীর সঙ্গে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আমি ভারত থেকে তাকে দেশে আনার জন্য বিকাশের মাধ্যমে বিশ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন বিয়ে না করলে আমার জীবনের কোনো অর্থ থাকবে না। হয় বিয়ে, না হয় আত্মহত্যা—এই দুটোই আমার সামনে।”

আলীর মা রেশমা বেগম বলেন, “ছেলে এখন ভারতে আছে। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যদি বিষয়টি সত্য হয়, তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখব।”
প্রেমিক আলী হাওলাদারের ভারতীয় মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইন্দুরকানী থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তফা জাফর বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/