জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ সারা বাংলাদেশের কলেজসমূহের মধ্য থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সিজিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে ৪.০০ অর্জন করে সারা বাংলাদেশে প্রথম স্থান অর্জন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের নাসরিন আক্তার।
সে ২০১৯-২০ সেশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে ভর্তি হয়। সে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা-২০২৩ অনুষ্ঠিত ২০২৫ এ অংশগ্রহণ করে সিজিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে চতুর্থ বর্ষের ফলাফল ৪.০০ ও সব ইয়ারের রেজাল্ট এক সাথে সিজিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে ৩.৮৫ পেয়ে সারা বাংলাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজসমূহের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বাংলার দূত পত্রিকার প্রতিনিধির সাক্ষাৎকারে বলেন- আমি মনে করি সে যদি তার এই অবস্থান ধরে রাখতে পারে, তাহলে সে দেশের জন্য ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারবে। এবং অধ্যক্ষ মহোদয় তার উত্তম ভবিষ্যৎ কামনা করেন। তিনি বলেন- তার অনার্স চতুর্থ বর্ষের সিজিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে চতুর্থ বর্ষে সিজিপিএ ৪.০০ অর্জন করেছে যেটা খুবই বিরল ব্যাপার। যা সহজে অর্জন করা সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন- নাসরিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এর সুনাম অর্জন করেছে। এতে আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষ আনন্দিত ও গর্বিত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব হাবিবুর রহমান খান বলেন-আমি আশা করি সে যদি তার বর্তমান অবস্থান ধরে রাখতে পারে তাহলে সে ক্যাডার হয়ে দেশ ও জাতির খেদমতে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে পারবে। এবং তিনি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
নাসরিন আক্তার দৈনিক বাংলার দূত পত্রিকার সাক্ষাতে বলেন- বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রশাসন ক্যাডার অথবা শিক্ষা ক্যাডার হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে প্রধান ভূমিকা রাখতে চাই। আমি একজন ভালো ও সৎ শিক্ষক হয়ে জাতি গঠনে যেন প্রধান ভূমিকা রাখতে পারি দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী।
নাসরিন আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের অহিদুর রহমান ও রেহেনা বেগম দম্পতির প্রথম কন্যা।
তার পিতার ইচ্ছা সে যেন দেশ ও জাতি গঠনে প্রধান ভূমিকা রাখতে পারে।
https://slotbet.online/