টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর–দেলদুয়ার) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী রবিউল আউয়াল লাভলু’র শান্তিপূর্ণ প্রচার–প্রচারণায় শৈরাচারী ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের সহযোগীর ক্যাডার বাহিনীর পরিচালিত বর্বরোচিত হামলায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার সকালে দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন কুলুবাড়ি এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ২৫–৩০ জন নেতাকর্মী গুরুতরভাবে আহত হন। তাদের মধ্যে অন্তত সাতজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ ‘এটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক সন্ত্রাস’। স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানান, বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তি জুয়েল সরকারের নির্দেশে আওয়ামী ক্যাডাররা এই ন্যক্কারজনক হামলা চালায়।
বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন “ বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জুয়েল সরকার দেলদুয়ার আসন থেকে হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ফেল করে জনসমর্থন হারিয়ে নাগরপুর-দেলদুয়ার কে অস্থিতিশীল করার লক্ষে বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্যই আজকের এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা চালায় ”

শনিবার সকালে বিএনপি প্রার্থীর রবিউল আউয়াল লাভলু সমর্থকরা পূর্বঘোষিত ৩১ দফার প্রতিশ্রুতি নিয়ে লিফলেট বিতরণ করতে যাচ্ছিলো। তখনই জুয়েল সরকারের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী ক্যাডাররা জুয়েল সরকারের ছবি দেওয়া ফেস্টুনসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র, রামদা, লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে নেতাকর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুহূর্তেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
হামলাকারীরা নির্বিচারে পিটিয়ে, কুপিয়ে, রক্তাক্ত করে কমপক্ষে ৩০ জন নেতাকর্মীকে আহত করে। আহতদের অনেকের হাত-পা ভেঙে গেছে, কারও মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে।
জুয়েল সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয়দের ভাষ্য,বিসিবির হিসাব রক্ষণ বিভাগে চাকরির সুবাদে জুয়েল সরকার অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এনটিভির একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনেও তার দুর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও টাকা পাচারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
দুর্নীতিতে জড়ানোর পর তিনি দেলদুয়ারে এসে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া তৈরি করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গড়ে তোলেন—এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জুয়েল সরকার বড় ব্যবধানে পরাজিত হন। ওই নির্বাচনেও ভোট কেন্দ্র দখল, ভয়ভীতি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।
তারা আরও জানান “এ হামলার উদ্দেশ্য স্পষ্ট ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে বিএনপি প্রার্থী রবিউল আউয়াল লাভলু’র জনপ্রিয়তা দমিয়ে রাখা। কিন্তু হামলা-নির্যাতন দিয়ে জনগণের আন্দোলন থামানো যাবে না।”
বিএনপির স্থানীয় নেতারা অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতা জুয়েল সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার, সম্পূর্ণ ঘটনায় বিচারিক তদন্ত নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সাধারণ মানুষ বলছেন দেলদুয়ারে জুয়েল সরকারের সন্ত্রাস চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
https://slotbet.online/