আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার রাজনৈতিক মানচিত্র উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, বিশেষ করে কুমিল্লা দেবিদ্বার-৪ এ। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ২০২৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য রোডম্যাপ ঘোষণার পর থেকেই এই নির্বাচনী এলাকার, গ্রামীণ আড্ডা থেকে শুরু করে হাট-বাজারের চায়ের দোকান পর্যন্ত, নির্বাচনী আলোচনা প্রধান বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে এই আসনটি বিএনপির একটি শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক চারবারের বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মন্জুরুল আহসান মুন্সী তার দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এবারের মাঠে কেবল বিএনপিই একমাত্র সক্রিয় শক্তি নয়। বিশেষত, ৫ আগস্ট-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা কার্যত নীরব ভূমিকায় রয়েছেন। তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড দৃশ্যত স্থগিত থাকায় স্থানীয় সমর্থকেরাও নিশ্চুপ। একইসাথে, জাতীয় পার্টির অবস্থানও এই আসনে ভোটের অঙ্কে প্রায় নেই বললেই চলে। এই রাজনৈতিক শূন্যতার সুযোগে এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামী মাঠ পর্যায়ে বেশ সরব হয়ে উঠেছে। তবে পর্যবেক্ষক ও স্থানীয়দের মতামতে, জামায়াতে ইসলামীর প্রচারণা এবার সাধারণ মানুষের মধ্যে লক্ষ্যণীয়ভাবে সাড়া ফেলছে।কুমিল্লা উত্তর জেলা সেক্রেটারি মোঃ সাইফুল ইসলাম শহিদ জামায়াত থেকে মনোনয়ন পেয়ে জামায়াতের পক্ষে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন।অন্যদিকে বাংলাদেশ যার দিকে তাকিয়ে আছে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এনসিপির প্রার্থী ঘোষণার পর পরই হাসনাত আব্দুল্লাহ সহ প্রচারে নেমেছেন দলীয় নেতা কর্মীরা। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অবশ্য দেবিদ্বারের একসময়ের বিএনপির ঘাটি নামে পরিচিত মন্জুরুল আহসান মুন্সীর আসনটি টার্গেট করে প্রচারনা চালাচ্ছে।
নির্বাচনী প্রস্তুতি, গণসংযোগ ও প্রচারণার এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভোট পর্যন্ত চলতে থাকবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
https://slotbet.online/