আবু বক্কর সিদ্দিক স্বপন, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের বাজিদপুর হুদুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত গৃহবধূর নাম মোছাঃ রোজিনা খাতুন (২৮)। তিনি ওই গ্রামের হারুন মোল্যার স্ত্রী। এ ঘটনায় আহতের বড় বোন মোছাঃ মোমেনা খাতুন (৩৮) ঝিনাইদহ থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করেছেন, প্রায় ১৬ বছর আগে রোজিনা খাতুনের বিয়ে হয় হারুন মোল্যার সঙ্গে। তাদের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী হারুন ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে মোমেনা খাতুন ও তার পরিবার বিভিন্ন সময়ে হারুন মোল্যাকে ১০ লাখ টাকা এবং ৪টি গরু প্রদান করেন। তবুও স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ আছে, গত শুক্রবার সকালে রোজিনা খাতুন টাকা দিতে অস্বীকার করলে স্বামী হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে মাথায় ধারালো দা দিয়ে কোপ মারে। এতে তার মাথায় গভীর জখম হয় এবং ৬টি সেলাই দিতে হয়। পরে রোজিনার জা লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে রোজিনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। রোজিনা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা তাকে হত্যা নিশ্চিত করতে কারেন্টের তার দিয়ে গলায় প্যাঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে। এ সময় রোজিনার মেয়ে সাদিয়া খাতুন (১১) চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা রোজিনাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন সাক্ষী মোঃ নজরুল ইসলাম ও উজ্জ্বল হোসেনসহ স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোনের কল রিসিভ করেন নি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
https://slotbet.online/