গুরুতর আহত জুলাইযোদ্ধা ও বিইউপি শিক্ষার্থী মোঃ আল-আমিন মণ্ডল নড়াইল জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব পদে মনোনীত হয়েছেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংগঠন কর্তৃক প্রকাশিত কমিটিতে এ পদ পান তিনি।
জানা যায়, জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে ১৮ জুলাই মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা চালায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ। এসময় রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) শিক্ষার্থী মোঃ আল-আমিন মণ্ডল গুরুতর আহত হন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ইট দিয়ে তার মাথায় গুরুতর আঘাত করে এবং পুলিশ সারা শরীরে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। পরে সেখান থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তার মোবাইল ছিনতাই করায় পরিবার থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে নিজ এলাকা নড়াইল জেলা শহরের ভওয়াখালীতে। পরবর্তীতে স্বাভাবিক হয়ে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন আল-আমিন।
এ বিষয়ে আল-আমিন মণ্ডলের মা রেহেনা পারভীন রোহেনা বলেন, আমরা জানতাম আল আমিন আন্দোলনে গেছে। কিন্তু পরে কয়েকদিন ওর সাথে যোগাযোগ না হওয়ায় আমরা ভেবেছিলাম ও বেঁচে নেই। এসময় ওর মৃত্যুর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সেজন্য তখন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন বাড়িতে এসে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে।
জুলাই আহত আল-আমিন মণ্ডল বলেন, জুলাই মাসে জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছি। আমাকে সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিবের পদে রাখায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
নড়াইল জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, এবারের কমিটিতে বেশি সংখ্যক আহতদের অন্তর্ভুক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। আরও আহত বা আন্দোলনে নেতৃত্বদাতাদের খুঁজে খুঁজে সংগঠনের ভালো দায়িত্বে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
https://slotbet.online/