কর্ণফুলীতে যুবলীগ নেতা আলমগীর কবির কে আটক করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দিল পুলিশ!
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর কবিরকে আটক করার পর টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্ণফুলী থানার দুই উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে।
। অভিযুক্তরা হলেন এসআই মোহাম্মদ রিয়াদুল ইসলাম ও এসআই মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
কর্ণফুলী থানা ওসি শরীফের নির্দেশে ছেড়ে দিয়েছে বলে নাম প্রকাশ না শর্তে থানার এক এসআই জানান।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ক্রসিং এলাকার এসআর স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টারে এই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকাশ্যে এমন ঘটনা ঘটায় পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসআর স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টারে যান যুবলীগ নেতা আলমগীর কবির। এ সময় সাদা পোশাকে থাকা কর্ণফুলী থানার একটি টিম তাঁকে হঠাৎ আটক করে ফেলেন।
স্থানীয়দের দাবি, কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় ও আর্থিক সমঝোতার মাধ্যমে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শিকলবাহা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আঙ্গুর মেম্বার ও স্থানীয় শ্রমিক নেতা বাহার উদ্দিন। তাঁদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি জানতে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে ওসি (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,“এ ধরনের অভিযানের খবর এখনো আমার জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি।”
অভিযুক্ত এসআই রিয়াদুল ইসলামও মন্তব্য এড়িয়ে বলেন, “একটা অভিযানে গিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। বিস্তারিত জানতে শিকলবাহা ফাঁড়ি আইসির সঙ্গে কথা বলুন।”
কিন্তু শিকলবাহা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শামিউর রহমানের ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
স্থানীয়দের দাবি, আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সদস্যরা যদি দায়িত্বের নামে এমন ‘অঘোষিত দরদাম’-এ জড়িয়ে পড়েন, তবে সাধারণ মানুষের ভরসা ক্রমেই নষ্ট হবে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শিকলবাহা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন যুবলীগ নেতা আলমগীর কবির কে কর্ণফুলী থানার পুলিশ ধরে আবার ছেড়ে দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে আমি সেখান চলে যায়।
তিনি আরো বলেন কর্ণফুলী থানার ওসি শরীফ যোগদানের পর এলাকায় চাঁদাবাজী বেড়ে চলছে। সাধারণ মানুষদের ধরে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে এবং আওয়ামী লীগ দোসর ও সুবিধা ভোগীদের কাজ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নাটকীয় ভাবে কৌশলে তাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলছে, দেশে অরাককতা সৃষ্টির পায়তারা করছে।