খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া– ফুলতলা) আসন বরাবরই হেভিওয়েটদের আসন। এই আসন থেকে নির্বাচন করেন দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদধারীরা এবং নির্বাচিত হওয়ার পর মন্ত্রীসভার মেম্বার হন।
বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে এখন পর্যন্ত এই আসনে বিএনপি একবারও জেতেনি৷ ১৯৯১ ও ১৯৯৬ এ আওয়ামী লীগের সালাহ উদ্দিন ইউসুফ এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রী হন। ২০০১ সালে আসনটি যায় জামাতের হেভিওয়েট নেতা মিয়া গোলাম পারওয়ারের কাছে। ২০০৮ থেকে এই কব্জায় নেয় আওয়ামী লীগের নারায়ন চন্দ্র চন্দ। সে একাধিকবার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী হয়।
এবার এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দলটির সেক্রেটারি জেনারেল।২০০১ এর এই আসনের এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফুলতলায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। ডুমুরিয়াতেও সমান তালে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
তারপরও এই আসনে বেশ কনটেস্ট হবে। কীভাবে? ডুমুরিয়ার ৪০% হিন্দু ধর্মালম্বী। এইখানেই মিয়া গোলাম পরওয়ার ধরা। অবশ্য গত কয়েক মাসে এখানে বেশ কয়েকবার জামাতের সনাতনী শাখা মিছিল বের করেছে। এইখানকার ফাংশন অনুযায়ী কিছুটা সুবিধাও পাবে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া খুব কঠিন।
এই আসনে ৯১, ৯৬ পর বিএনপি আর প্রার্থী দেয়নি। জোটের জন্য জামায়াতে ইসলামীকে ছেড়ে দিত। এবার ২৯ বছর পর প্রার্থী দিয়েছে। ধানের শীষে নির্বাচন করবেন হাওয়া ভবনের ঘনিষ্ঠ, ব্যবসায়ী ও ২০০১ সালে খুলনা-২ থেকে উপনির্বাচন করা আলী আসগর লবি। স্থানীয় না হওয়াতে তার উপর তৃণমূল বেশ ক্ষ্যাপা। এ ছাড়া দির্ঘদিন রাজনীতিতে না থাকায় একটু সমস্যা আছে। কিন্তু বিএনপির নেতা কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
এই আসনে স্থানীয়ভাবে বিএনপির প্রভাব সবথেকে বেশি। জামাতের থেকেও বেশিই। তবে তৃণমূল লবির উপর ভরসা করবে কিনা দেখার বিষয়। এখন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিল জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইবাদুল হক রুবায়েদ ও স্থানীয় বিএনপি নেতা শফি মোহাম্মদ খান।
এই আসনে এনসিপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন একাধিক। তার মধ্যে একজন যুবশক্তি’র কেন্দ্রীয় সংগঠক সৈয়দ আবু ওয়াহিদ অনি। তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। ২০১৫ থেকে নানা ধরনের আন্দোলনের সাথে জড়িত। বিভিন্ন পেশার মানুষদের একাধিকবার একত্রিত করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে খুলনায় অন্যতম সংগঠক ছিল।
এছাড়া তৌকির আহমেদ সাগর, ইসরাত সুলতানা লামিয়াসহ আরো বেশ কয়েকজন এনসিপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন ডুমুরিয়া উপজেলা সহ-সভাপতি মাওলানা মুফতি আব্দুস সালাম।
তবে জামাত-বিএনপির বাইরে এখানে অন্য কারো স্ট্রং ক্যান্ডিডেট নেই। মূল লড়াইটা তাই হবে গোলাম পরওয়ার ও লবির মধ্যে। সনাতনী ভোট যেখানে ফ্যাক্টর হবে। দেখার বিষয় জামাতের সনাতনী শাখা কি করে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া খবরে জানা যায় এই আসনে ফুলতলা উপজেলার চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন নির্বাচন যদি নির্বাচন করে তা হলে হিসাব নিকাশ উল্টে যেতে পারে।
প্রধান সম্পাদক: মুন্সী জামিল উদ্দিন প্রকাশক: মোসা মিতা খাতুন
সরকারি মিডিয়াভুক্ত জাতীয় দৈনিক বাংলার দূত
২১৯/১,নূরভবন (২য় তলা), ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
ফোন নাম্বার : ০১৭১৮৭৫২৯০৯
ইমেইল: dailybanglardoot@gmail.com
সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি,ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যাবহার বেআইনি।
Copyright © 2025 banglar doot. All rights reserved.